কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা – Kushtia Journalist Forum Dhaka

About KJFD

আমাদের কথা:

কুষ্টিয়া শুধু কুষ্টিয়াতেই সমৃদ্ধ নয়, সমৃদ্ধ ঢাকাতেও। সমৃদ্ধির এই বার্তা ‘আপন ঘরের খবর’ না নেয়ার মত অবস্থা আমাদের। সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া, আধ্যাত্মিক জেলা কুষ্টিয়া, স্বাধীনতার প্রথম সূর্যোদয়ের জেলা কুষ্টিয়া, ইংরেজ তত কাঁপানো সিংহ পুরুষের জেলা কুষ্টিয়া, মাথা পিছু সর্বোচ্চ আয়ের জেলা কুষ্টিয়াকে ক’জন সেভাবে উদ্দেলিত করে। লালন-রবীন্দ্র-মীর মশাররফ-বাঘা যতীন-কাঙাল হরিনাথের জন্ম ও স্মৃতি এ জেলাকে বিশিষ্টতা দিয়েছে। জাতীয় পর্যায় তথা ঢাকায় কুষ্টিয়ার সাংবাদিকের সংখ্যা শ’এর ওপরে। সবাই বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে কর্মরত। প্রধানমন্ত্রীর দফতর, টেলিভিশন, দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরত কুষ্টিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। কিন্তু ঢাকায় আরশীনগরের পড়শীদের মাঝে ‘আপন ঘরের খবর’ দেয়া-নেয়ার সেতু ছিল না। কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা গঠনের মধ্য দিয়ে সে অভাব পূরণ করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ তৈরি হয়েছে।

সাহিত্য সংস্কৃতির জগতে কুষ্টিয়া ও এর বাসিন্দাদের কর্তৃত্বের সুবাদে এ জেলা পেয়েছে সাংস্কৃতিক রাজধানীর অভিধা। দেশবরেণ্য মনীষার জন্ম ও পদস্পর্শ এ মাটিকে করেছে বৈশিষ্ট মণ্ডিত । মহান মুক্তিযুদ্ধে জেলার ভূমিকা সেই বিশিষ্টতাকে আরও উজ্জ্বল করেছে। কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম এ ধরণের আঞ্চলিক সংগঠনের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ও স্বকীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী কুষ্টিয়া সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের জেলা। এটা সম্ভব হচ্ছে মূলত কুষ্টিয়ার মানুষের কর্মকুশলতা, আত্মনির্ভরশীলতামুখী মনোভঙ্গির জন্য। কুষ্টিয়ার কৃষিজ উৎপাদন, বিশেষ করে অর্থকরি ফসলের উৎপাদন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিসিক কেন্দ্রিক শিল্প ও তাঁত শিল্প, সেচ প্রকল্পের মত অবকাঠামো মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা এনেছে। পদ্মা-গড়াই-মাথাভাঙ্গা বিধৌত নরম মাটিকে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সঞ্জিবনি ছুঁয়ে দিয়ে সোনা ফলিয়েছে। লালন সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রীজ প্রথম পদ্মা সেতু ও সবচেয়ে পুরাতন বড় ব্রীজের মর্যাদার অংশীদার করার মধ্য দিয়ে উত্তর দক্ষিণ যোগাযোগের সেতুবন্ধ হিসেবেও কাজ করেছে কুষ্টিয়া।

বিশিষ্টতা সত্ত্বেও অবকাঠামোসহ অনেক উন্নয়ন এখনও অপূর্ণ। গড়াই নদীর নাব্য, দৌলতদিয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ, প্রাগপুরের স্থলবন্দর বাস্তবায়নের মতো নানা দাবি ও স্বপ্ন এখন কুষ্টিয়ার মানুষের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কুষ্টিয়াসহ দেশের দক্ষিন- পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের অস্তিত্ব। পদ্মা পানি না পেলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া যশোর সেচ ব্যবস্থা সংকটে পড়বে, গড়াইয়ে পানি গড়াবে না, গড়াই অববাহিকা তথা সুন্দরবন মিঠা পানি শূণ্য হবে। সমাধানে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সমান্তরালে সাংবাদিক সমাজকেও কাজ করতে হবে।